কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন মোল্লা এবং দাউদকান্দি থানা জামায়াতের আমীর ও কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রার্থী মনিরুজ্জামান বাহলুল। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি লোকমান হাকিম ভুইঁয়া, অধ্যক্ষ মুফতি আমিনুল ইসলাম ও বসুন্দরা থানা আমীর আবুল বাশার প্রমূখ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, আমরা অতীত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, নির্বাচন কমিশন ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংসদীয়-২৫০ তথা কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসনের সীমানা বিদ্যমান ‘হোমনা-মেঘনা উপজেলার’ পরিবর্তে ‘হোমনা-তিতাস উপজেলার’ সমন্বয়ে কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসন এবং বিদ্যমান দাউদকান্দি-তিতাস উপজেলার পরিবর্তে, মেঘনা উপজেলাকে দাউদকান্দি উপজেলার সাথে সংযুক্ত করে দাউদকান্দি-মেঘনা উপজেলার সমন্বয়ে কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। যা কোনভাবে বিবেচনা প্রসূত হয়নি বরং সীমানা পুনঃনির্ধারণের মাধ্যমে নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। তিনি স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্য আগের সীমানা পুনর্বহাল নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাজিম উদ্দীন মোল্লা বলেন, মেঘনা উপজেলা দাউদকান্দি উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং মেঘনা উপজেলা থেকে দাউদকান্দি উপজেলায় যাওয়ার জন্য সরাসরি কোন সড়ক যোগাযোগ নেই এবং মেঘনা উপজেলা থেকে দাউদকান্দি উপজেলায় যেতে হলে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে অথবা হোমনা উপজেলা দিয়ে বাতাকান্দি বাজার হয়ে তিতাস উপজেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। তাই মেঘনার সাথে দাউদকান্দিকে যুক্ত করা কোন ভাবেই যুক্তিযুক্ত নয় এবং এতে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, অতীতে ভৌগলিক অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মেঘনাকে হোমনার সাথে সংযুক্ত করে ভৌগলিক, প্রশাসনিক সুবিধা ও আঞ্চলিক অখ-তা রক্ষা করা হয়েছিল। বর্তমানে হোমনা উপজেলা ও মেঘনা উপজেলার সকল জনসাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, সামাজিক ও প্রশাসনিক সুবিধাধি নিয়ে সন্তুষ্ট রয়েছেন। এ দু’উপজেলার পুলিশ সার্কেলও একই। তাই অত্র এলাকার নির্বাচনী আসনের পূর্ব ইতিহাস, ভৌগলিক অখ-তা, সামাজিক বন্ধন, প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধা ও বিদ্যমান সুবিধাজনক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ সার্বিক দিকে বিবেচনা করে ১৯৫৪-২০০১ এবং ২০২৪ সালের ন্যায় ‘হোমনা ও মেঘনা উপজেলার’ সমন্বয়ে কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখার কোন বিকল্প নেই। তাই আশা করি এলাকার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা এবং এলাকার মানুষের আবেগ অনুভূতির কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন আসন দুটির যে প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করেছে তা বাতিল করতঃ আসন দুটির সীমানা আগের অবস্থানে পুনর্বহাল করবেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।