চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি। ফ্যাসিস্ট অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে ও সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেও মাঠে কর্মসূচী পালন করেছি। ফ্যাসিস্ট অপশক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শীর্ষ ১১ জন জামায়াত নেতাকে হারিয়েছি। যা বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ১শ’ বছরের অর্জন। ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে হারাতে হয়েছে এবং ২০ হাজারের অধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে ঘর, বাড়ি, ব্যবসা ও চাকুরী ছাড়া করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মিপুর মোড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পরিবারের সদস্যদেরকে গুম করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে দেশের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজপথে স্বাভাবিকভাবে যে গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার সেটিও দেওয়া হয়নি। অবশ্যই জনগণের দাবি আদায়ের জন্য, গণআকাংখা পূরনের জন্য তৎকালিন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি আমরা যেকোন দেশ বিরোধী, ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে ভূমিকা পালন করেছি। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক দাঁড়িপাল্লা সেটিকেও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, দলটি সবচেয়ে বড় মজলুম দল। এতো কিছুর পরও সবসময় দেশ ও জনগনের জন্য ভূমিকা পালন করে চলেছি। আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আপোষহীন ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের কোন অবৈধ আরদালির কাছে মাথানত করেনি। জীবন রক্ষার জন্য তারা কখনই আপোষ করার স্বপ্ন দেখেননি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চাপের মুখেও তারা কখনই নতি স্বীকার করেননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় গ্রেফতার করা হয়েছি, নিপীড়ন চালানো হয়েছে, রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এরপরও দলটি রাজপথে ছিলো দেশের ও মানুষের কল্যাণে। নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যেখানে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন, সড়ক দূর্ঘটনা ও অগ্নিকান্ড যেখানে বিপর্যস্ত মানবতার আহাজারি আমাদের আমির জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ছুটে গেছেন। দেশে আরো রাজনৈতিক দল আছে, তারা বক্তব্যে প্রতিদিনই বলছেন জনগনের কল্যাণে রাজনীতি করেন। তাহলে জনগণ যখন বিপদগ্রস্থ হয়, তাহলে জামায়াত ছাড়া অন্য কোন দল তাদের পাশে যায় না। তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টে গণ অভ্যুত্থানের সময় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো, কিন্তু এই নিষিদ্ধের প্রতিবাদে কোন কর্মসূচী দেওয়া হয়নি। ছাত্র-জনতার যে উত্তাল আন্দোলন চলছে, তা বাধাগ্রস্থ না হয় সেজন্য দলের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচী দেওয়া হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল তা বেগবান করার জন্য ভূমিকা পালন করেছি। ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রদের এ আন্দোলনে নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন করেছে। ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর আমিরে জামায়াত সোশ্যাাল মিডিয়া ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার জনগনের কাছে আহ্বান জানান যাতে করে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি ও সুযোগ সন্ধানিরা দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে না যায়। আমিরে জামায়াত বারবার আহ্বান জানান ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সহায় সম্পদ, উপাসনালয় পাহারাদারী করা হয়। এটিকে নিয়ে কেউ রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করতে না পারে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আমিরে জামায়াত মতবিনিময় করেন। তাদেরকে সাহস দেন এবং সহযোগিতার আশ^াস দেন। তিনি আরো বলেন, আমিরে জামায়াতের নির্দেশনায় সারাদেশে বিগত জুলাই-আগস্টে গণ অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিলেন ও শহিদ হয়েছেন সেসব প্রতিটি পরিবারের ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং যারা আহত হয়েছেন সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ আবু বকর, সদর উপজেলার জামায়াতের আমির হাফেজ আব্দুল আলীম, বারোঘরিয়া ইউনিয়নের আমির মোঃ নজরুল ইসলাম। অপরদিকে, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাপক গণসংযোগ করেন। অন্যদিকে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় গণসংযোগকালে কুশলবিনিময় করেন।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
জামায়াত সকল সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশেই আছে ----- নূরুল ইসলাম বুলবুল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন,
Printed Edition