জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। জুলাই বিপ্লবীদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। শহীদদের খুনের বিচার হয়নি, আহতরা এখনো বেডে কাৎড়াচ্ছে। এরই মধ্যে একটি গোষ্ঠী তাদের বক্তব্য, কথা ও কাজের মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিবাদকে পুনবার্সনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। জুলাই গণহত্যার বিচারের মাধ্যমেই দেশে পতিত ফ্যাসিবাদীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নেবে জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি গত শনিবার রাতে সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ৪১নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত জনশক্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল হক মেম্বারের সভাপতিত্বে ও ৪১নং ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি জিয়াউদ্দিন জিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিলেট-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ।
তিনি আরও বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও এখনো সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজী বন্ধ হয়নি। আগামী নির্বাচনে জনগণ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তাদের রায় প্রদর্শন করবে। এই দেশে নতুন করে আর কোন ফ্যাসিবাদের উত্থান জনগণ মেনে নিবেনা। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চিরতরে ফ্যাসিবাদের রাস্তা বন্ধ হবে। জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবেনা। তাই নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা লোকমান আহমদকে বিজয়ী করতে সর্বস্তরের জনশক্তিকে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান ও থানা সেক্রেটারি ফয়জুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর, ৪১নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ফজলুর রহমান, সেক্রেটারি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওবায়দুর রহমান কামরান, মোঃ ইফতেখার হোসেন মুক্তা, মোঃ নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খছরুজ্জামান ও মোঃ ছালেক আহমদ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম বলেছেন জামায়াতসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে বারবার দেশে ফ্যাসিবাদী দু:শাসন মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা মেনে না নিলে দেশের জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে রোববার সকালে স্থানীয় এক মিলনায়তনে নির্বাচনী দায়িত্বশীল কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।সংগঠনের রাজনগর উপজেলা আমীর আবু রাইয়ান শাহিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হবে দেশ গড়ার নির্বাচন। পতিত ফ্যাসিবাদ দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই দেশকে পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজন একটি আমানতদার, সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক সরকার। জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর এই গুণ রয়েছে। অতীতেও জামায়াতের সংসদ সদস্যরা তাদের যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। দেশের মানুষ তাই জামায়াতকে এবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আগামী নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। রাজনগর উপজেলা সেক্রেটারি মিছবাউল হাসানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী’র ওলামা বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি শেখ মো: আব্দুল হক।কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহেদ আলী রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের রাজনগর উপজেলার আমীর আবুর রাইয়ান শাহিনকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।