সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৫ আসামী জামিনে মুক্ত থাকায় ন্যায় বিচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। প্রভাবশালী আসামিরা মুক্তি পাওয়ায় তিনি, তাঁর পরিবার ও মামলার সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেই সাথে বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সালমা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সালমা বেগম জানান, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ চাঁদার দাবিতে রায়হানকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনি এসআই আকবরসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বিচার কার্য চলছে। এর মধ্যে ৬ নং আসামি নোমান শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল আসামি হারুনুর রশিদ, ২০ মে টিটু চন্দ দাস, ১২ জুন হাসান উদ্দিন জামিনে মুক্তি পান। গত ১০ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর। ফলে বর্তমানে মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৫ জনই জামিনে মুক্ত।

সালমা বেগম জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এসআই আকবরের জামিনের বিরুদ্ধে পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দায়ের করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে আকবরকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু বুধবার জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, জামিনের পর আকবর ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ অবস্থায় দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন করে খুনিদের মৃত্যুদ- এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণের জন্য সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রায়হানের মা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ন্যায়বিচারের জন্য তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সহসভাপতি আমির হোসেন, সালিস ব্যক্তিত্ব সানা উল্লাহ সানা প্রমুখ।