চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অঘোষিত রাজাখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। সে তেল চোরাচালান চক্রের হোতা। ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গতকাল শনিবার সিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বিশেষ অভিযানে তাকে ইপিজেড থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সরকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় তিনি নেতৃত্ব দেয়।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বিদেশী জাহাজগুলো ঘিরে হারুনুর রশীদ গড়ে তুলেছে শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট। তার নেতৃত্বে চক্রটি জাহাজের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অপরিশোধিত ক্রুড, সয়াবিন, পাম অয়েল, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল থেকে শুরু করে চাল, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে এনে বিক্রি করছে। একের পর এক তেলের চালান আটক করা হলেও তাকে বিগত দিনে দলীয় প্রভাবের কারণে থামানো যায়নি। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। সম্প্রতি অপরিশোধিত পাম অয়েলসহ তার মালিকানাধীন বাল্কহেড তানিশাকে আটক করে কোস্টগার্ড। পাম অয়েলকে সয়াবিন তেল বলে বিক্রির চেষ্টা করছিল হারুন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। বাল্কহেড এফবি তানিশার মালিক মোহাম্মদ হারুনকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী। গ্রেফতার হারুনুর রশীদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরের শীর্ষ তেল চোরাকারবারি ও কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ তেল শুক্কুর। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজ এলাকা ডাঙ্গারচর থেকে শহর এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।