ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাজী শওকত আলীর সহধর্মিণী মুহতারামা সেলিনা আক্তার ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় সুপারিওয়ালা পাড়া বাইতুর রহমত জামে মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাযের ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, ডবলমুরিং থানার আমীর মো. ফারুকে আযম এবং থানা ও ওয়ার্ড জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আতœীয় স্বজন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৫৪ বছর। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ মিসাব বাড়ী। তিনি ২৩ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ড মহিলা জামায়াতের রুকন ছিলেন। মরহুমা সেলিনা আক্তারের ইন্তিকালে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুমা সেলিনা আক্তার ইসলামী আন্দোলনের একজন দায়ী ছিলেন। তিনি মহিলা অঙ্গনে জামায়াতের কাজ সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নারী তার জীবনের সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টা ইসলামের জন্য ছিল। তিনি আমৃত্যু দ্বীনের কাজের জন্য নিবেদিত ছিলেন। আমরা তার মৃত্যুতে একজন নিবেদিতপ্রাণ দ্বীনের দায়ী হারালাম। আমরা মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করব, মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করছি মহান আল্লাহ যেন তাদের ধৈর্যধারণ করার তৌফিক দান করেন আমিন। জানাজা শেষে কোতোয়ালীস্থ চৈতন্য গলি (২২ মহল্লা) কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।