শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা: স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর চর ভরাট করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। নদীর চরে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও তা মানছে না কেউ। অবৈধ এই দখল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীরা।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি খোলপেটুয়া নদীর মধ্যে নওয়াবেঁকী বাজারের মৎস্য আড়ৎদাররা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট জায়গা জুড়ে চর ভরাট করা হয়েছে। নদীর এই জায়গা দখল করে সেখানে আড়ৎ নির্মাণের ছক আকছেন তারা। শুধু মৎস্য আড়ৎদাররাই নয়, নওয়াবেঁকী বাজারের খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন এলাকা জুড়ে চলছে নদী দখলের এই প্রতিযোগিতা। নদী দখল করে কে কার আগে স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তা নিয়ে চলছে দফারফা। কেউ নদীর বাঁধে, কেউ নদীর জেগে উঠা চরে গড়ে তুলছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পাকা ভবন। দখলকারীদের এমন প্রতিযোগিতা প্রকাশ্যে চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্টরা নির্বিকার।
খোলপেটুয়া নদীর চর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রশাসনের লোকজন এসে দেখার পর কয়েকদিন কাজ বন্ধ থাকে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পর আবারো শুরু হয় ভবন নির্মাণের কাজ। এমন চোর-পুলিশ খেলার মাঝেই নদীর চর দখল করে গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে নওয়াবেঁকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমি বারবার নিষেধ করার সত্ত্বেও নির্দেশ অমান্য করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন অনেকে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নির্দেশে নদীর চরে ও বাজারে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।