বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা : নাটোরের বড়াইগ্রামে মধ্য রাতে সীমানা প্রাচীর ভেঙে কলেজ শিক্ষিকার জমি দখলে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া একটার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার চকবড়াইগ্রাম মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে চক বড়াইগ্রামের মৃত আফসার আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম (৬৫), ওই শিক্ষিকার স্বামী বনপাড়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক আজাদ আলী (৩৫), নুরুজ্জামানের স্ত্রী সালমা বেগম (৪৫), বজলুর রহমানের ছেলে খায়রুল আলম সাগর (৩৫) ও সজল হোসেন (৩০), সোহরাব হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান ডাবলু (৫০) ও তার ছেলে সাদাত হোসেন সামী (২৩) কে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বড়াইগ্রাম সরকারি অনার্স কলেজে প্রভাষক নাসরিন সুলতানা কয়েক বছর আগে তার মামাতো ভাই হাবিবুর রহমান ডাবলুর কাছ থেকে বাড়ি করার জন্য ৫ শতাংশ জমি কিনেন। সম্প্রতি তিনি ওই জমির চারপাশে প্রাচীরসহ জিআই তার দিয়ে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। কিন্তু বিক্রেতা হাবিবুর রহমান ডাবলু দলিলের নকশা অনুযায়ী দখল দিতে আপত্তি জানান। পরে তিনি আদালতে দলিল সংশোধনী মামলা করেন। শনিবার মধ্যরাতে ডাবলু ও তার লোকজন সেখানে গিয়ে বেড়া কেটে ফেলাসহ সীমানা প্রাচীরের বেশির ভাগ অংশ ভেঙ্গে ফেলেন। এ সময় টের পেয়ে আজাদ আলী ও তার স্বজনরা এগিয়ে এসে বাধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে সাতজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান ডাবলু বলেন, আমার উপর আনা অভিযোগ সত্য নয়, তারাই হামলা করে আমাদেরকে আহত করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।