বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ টি ইসলামী দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিরর অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ রাজশাহী নগরীতে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় হয়।

ইসলামী জোটের অন্যান্য দলগুলো হলো,ইসলামী আন্দােলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দালন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির সিদ্দিক হুসাইন, এ্যড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি মো. শাহাদাৎ হোসাইনসহ মহানগরীর ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।

বাসা বাড়িতে দুধর্ষ চুরি: রাজশাহীতে গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এক স্কোয়াড্রন লিডারের (মেজর) বাসাবাড়িতে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মা এবং ভাতিজাকে অবরুদ্ধ করে রেখে ল্যাপটপ ও ব্যাংকের চেকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তারা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে নগরীর সপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিমানবাহিনীর ওই কর্মকর্তার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি স্কোয়াড্রন লিডার (মেজর) হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে চট্টগ্রামে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার সময় তার মা মোছা. মুর্শেদা খাতুন এবং ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান বাসায় ছিলেন। তার মা মুর্শেদা খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত এবং ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান সাংবাদিকতা করেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর সপুরা এলাকায় বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির এজাহারে রাবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোছা. মুর্শেদা খাতুন উল্লেখ করেন, 'বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে আমার নাতির ঘুম ভাঙে। তিনি আমার রুমে একজনকে দেখতে পান এবং চোর বলে চিৎকার দেন। তখন ওই ব্যক্তি আমার ঘর থেকে দৌঁড়িয়ে বের হয়। ডাইনিংয়ে রাখা আমাদের বাসার চাবিটি আগেই সে নিয়েছিল। ঘর থেকে বের হয়ে ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে। আর চাবি দিয়ে বাসার নিচতলায় মেইন দরজা খুলে পালিয়ে যায়। বাসার বাইরে নিচে তার আরও সহযোগী ছিল। এ সময় একটি ল্যাপটপ, দুটি ব্যাগ, নগদ টাকা ও দুটি চেক বইসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র তারা চুরি করে নিয়ে যায়। আতঙ্কিত অবস্থায় আমরা ড্রয়িং রুমে টেবিলের ড্রয়ার ও নানা কাগজপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখি। টেবিলের ওপর একটি ধারালো বটিও (হাসুয়া) রাখা ছিল। আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় ৯৯৯-এ কল করি এবং বোয়ালিয়া থানার পুলিশকেও জানাই। এরপর পুলিশ এসে বাইরে থেকে গেট খুলে আমাদের উদ্ধার করে।'।

এ ব্যাপারে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাতে একটা মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। চুরির মালামাল উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।