DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

নেপালের বন্দিশালায় তারেক আজিজসহ ৭ দিন জিম্মি থাকার দাবি শিবির নেতার

কুমিল্লায় তারেক আজিজ নামে এক কলেজ ছাত্রকে আমেরিকায় নেওয়ার কথা বলে নেপালে নিয়ে জিম্মি করে দেশে পরিবার থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আশেকে এলাহী। তার দাবি, তারা দু’জন (তারেক আজিজ ও আশেকে এলাহী) নোয়াখালীর যোবায়ের মাহমুদ নামে এক মানব

কুমিল্লা অফিস
IMG-20250303-WA0081

কুমিল্লায় তারেক আজিজ নামে এক কলেজ ছাত্রকে আমেরিকায় নেওয়ার কথা বলে নেপালে নিয়ে জিম্মি করে দেশে পরিবার থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আশেকে এলাহী। তার দাবি, তারা দু’জন (তারেক আজিজ ও আশেকে এলাহী) নোয়াখালীর যোবায়ের মাহমুদ নামে এক মানব পাচারকারীর মাধ্যমে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে নেপালে যোবায়েরের বন্দিশালায় মানব পাচারকারী চক্রের নিকট ৭ দিন জিম্মি ছিলেন এবং পরিবারের মাধ্যমে যোবায়েরকে মুক্তিপণ বাবদ ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।

তিনি বলেন, যোবায়েরের নেতৃত্বে রয়েছে সংঘবদ্ধ বিশাল মানব পাচারকারী চক্র। চক্রটি এভাবে আমেরিকা নেয়ার কথা বলে নেপালে নিয়ে জিম্মি করে দেশের বহু বেকার তরুণ যুবক ও তাদের পরিবারকে সর্বস্বান্ত করেছে। আশেকে এলাহী জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের মৃত মাওলানা ইসহাক মিয়ার ছেলে ও সাবেক ছাত্রশিবির নেতা ।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকার সৈয়দ ম্যানশনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এমন দাবি করেন।

আশেক এলাহী বলেন, নোয়াখালীর জোবায়ের নামের এক দালালের খপ্পরে পড়েন তিনি এবং তারেক আজিজ ও রেজাউল করিম রতন। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর টাকা পরিশোধ করার শর্তে ৪৫ লাখ টাকার চুক্তিতে তারা সেখানে যেতে রাজি হন। কিন্তু নেপাল নিয়ে দালাল জোবায়ের তারেক আজিজের মতো তাকেও জিম্মি করে তার কাছ থেকেও ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা পরে এ ঘটনায় নেপালের বাংলাদেশ হাইকমিশনে অভিযোগ করে সবাই দেশে আসি। ওই সময় তারেক আজিজ বাদী হয়ে নেপাল পুলিশ এবং নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে মানব পাচারকারী হিসেবে জোবায়েরের নামে অভিযোগ করেন। কিন্তু দেশে এসে তারেক আজিজ ও আমার এলাকা পাশাপাশি হওয়ার কারণে তারা আমাকে অন্যায়ভাবে দায়ী করেন এবং আমি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তৎসময়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে মিলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ আমি বাড়িতে গেলে তারেকের বাবা কামাল হোসেন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়িতে আবার হামলা করেন এবং আমার চাচা মো. ইয়াছিনের কাছ থেকে পাঁচটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। খালি চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য আমরা আদালতে মামলাও করেছি। এছাড়া মানব পাচারকারী চক্রের হোতা নোয়াখালীর যোবায়েরের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি এভাবে আমেরিকা নেয়ার কথা বলে নেপালে নিয়ে জিম্মি করে দেশের বহু বেকার তরুণ-যুবক ও তাদের পরিবারকে সর্বস্বান্ত করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।