সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দৈনিক ৭৫০ টাকা হারে ২২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনসহ ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রায় আড়াই হাজার দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক।
গতকাল বুধবার সকালে তারা কর্মবিরতি শুরু করে নগর ভবনের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয় শ্রমিকরা। এতে কর্মকর্তারা কেউই নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ে। প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেবা নিতে এসে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। শ্রমিকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দৈনিক মজুরির কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ী করা, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেতন প্রদান, সব উৎসব ভাতা দেওয়া, প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, চাকরিচ্যুতির হুমকি বন্ধ করা এবং অবসরের সময় বিদায় সম্মান প্রদানের ব্যবস্থা করা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্ধারিত মজুরি অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না। তাদের দৈনিক ৪৮০ টাকা হারে বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস আগে ৭৫০ টাকা হারে বেতন দেওয়ার জন্য সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এছাড়া চাকরির স্থায়ী না হওয়ায় সব সময় চাকরি হারানোর আশঙ্কায় থাকেন তারা। তাই বারবার দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে কর্মবিরতির পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ পাহারায় প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা নগর ভবনে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেন। তবে শ্রমিকরা জানায়, তাদের ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবে।
কিশোরীর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকায় একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে ইভার স্বামী দুর্জয় পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। তবে তিনি স্ত্রী ইভাকে নিয়ে রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ইভার বাবার নাম ইকবাল হোসেন, বাড়ি নগরের মেহেরচ-ী এলাকায়। নিহত ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে হত্যা হওয়ায় সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারের উপর হামলা- প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
সোনারগাঁ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদার কামরুজ্জামানের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৫০০ শতাধিক নারী পুরুষ।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মীরেরটেক এলাকায় মদনপুর-গাজীপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী ঠিকাদার কামরুজ্জামান জানান, তিনি উপজেলার মীরেরটেক বাজার থেকে সাদিপুর রাস্তার মেরামতের কাজ পান। পরে কাজ করতে গেলে স্থানীয় গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে আওলাদ, বাবু, সোহাগ ও আল আমিনসহ ১০/১২ জনের একদল লোক তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত বৃহস্পতিবার তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।