সীমাহীন দখলদারিত্বের কবলে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা ঘাটসহ বাসস্ট্যান্ড। এতে করে চরম দুর্ভোগে যাত্রী সাধারণ। নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।
সরজমিনে দেখা যায়, একের পর এক দখলদারিত্বের কারণে পূর্ব রূপসা ঘাটের দুই প্রান্তসহ বাসস্ট্যান্ড সংকুচিত হয়ে আসছে। এমনকি পূর্ব রূপসা ঘাটের দক্ষিণ প্রান্তের বটতলাসহ বিশ্রামের মনোরম পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে অবৈধ দখলদারদের কারণে। রূপসা নদী পার হয়ে আসা সাধারণ যাত্রীরা এই স্থানটি অতিক্রম করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে ঘাটের দুই পাশে যেভাবে অবৈধ দোকানপাট, ভ্যান গাড়ি, মাহিন্দ্র ও যাত্রীবাহী বাস এলোমেলোভাবে থাকে তাতে কোন সাধারণ মানুষ এখান থেকে নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারে না। প্রতিদিন রূপসা নদী পারাপার হয়ে থাকে প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ। জীবন জীবিকার তাগিদে কেউ গ্রাম থেকে শহরে যাই আবার কেউ শহর থেকে মফস্বলে আসে। পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ঘাটের দুই প্রান্ত অবৈধ দখলদারদের দখলে থাকার কারণে এইসব যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ঘাটের উপরিভাগে এই দখলদারিত্ব নতুন ঘটনা না ঘটলেও পূর্ব রূপসায় ঘটছে নতুন নতুন ঘটনা। কেননা পূর্ব রূপসা ঘাট পার হয়েই বিশাল বাসস্ট্যান্ড। আর এই বাসস্ট্যান্ডের অধিকাংশ স্থান দখল করে নিয়েছে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। অবৈধ দখলদারদের অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। পূর্ব রূপসা ঘাটে প্রবেশ মুখের দুই প্রান্তে অসংখ্য ছোট ছোট দোকান বসেছে। স্ট্যান্ডের জায়গা দখল করেই এই দোকানিরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর এখানকার দখলদারিত্ব আরো বহুগুন বেড়েছে। যখন যার মনে চায় সে এসে পূর্ব রূপসা ঘাটের ফাঁকা জায়গায় একটা দোকান বসিয়ে যাচ্ছে। ঘাটের মুখে বাস, মহেন্দ্রা ও ভ্যান গাড়ি এলোমেলোভাবে যাত্রী সাধারণ উঠানামা করে প্রতিনিয়ত।