চট্টগ্রাম মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা পানিবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত বুধবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “পানিবদ্ধতা একটি বহুমাত্রিক সমস্যা, যা কেবল সিটি কর্পোরেশনের একক প্রচেষ্টায় সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।”
সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “পানিবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রামের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও জলধারণ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা চাই প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হোক এবং তা কার্যকর হোক। এজন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।”
সভায় অস্ট্রেলিয়ায় ড্রেনেজ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ড. আবদুল্লাহ আল মামুন তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতা নিরসনে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।”
অন্যদিকে, মেয়রের পানিবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ বলেন, “নদী, খাল ও নালা পরিষ্কারের পাশাপাশি পানিবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদও জরুরি। খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, নইলে যে কোনো প্রকল্পই ব্যর্থ হতে পারে।”
সভায় অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুততার সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি তদারকি করতে হবে। মেয়র এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বন্দরের চীফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মোহাম্মদ শামসিত তাবরীজ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা গ্রেফতার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. শরীফ মাহমুদ অপুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত শুক্রবার বিকেলে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, শরীফ মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
নগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। গত শুক্রবার তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দেওয়া হয় আদালতে। সরকারি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা রয়েছে। আমরা দুদকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।