শতভাগ আবাসন, চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারসহ সাত দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চবি ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা ও প্রস্তাবনা সংক্রান্ত বুকলেট পেশ করা হয়। পাশাপাশি দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

চবি ছাত্রশিবিরের বায়তুলমাল সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। শত জুলুম-নিপীড়ন, গুম-খুন, হত্যা, মিডিয়া সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ যত বেশি শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের দূরে সরাতে চেয়েছে, ছাত্রশিবির তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ভালোবাসা পেয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে।

জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শহীদদের আকাঙ্খা বিনির্মানে, ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত একটি ক্যাম্পাস উপহার দিতে অধিকার সংশ্লিষ্ট সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়।

বক্তব্যের শেষে তিনি সাত দফা দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যেখানে ১ জুলাই-১০ জুলাই সংস্কার ক্যাম্পেইন, ১ জুলাই প্রতীকী সিট বণ্টন, ৩ জুলাই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়, ৭ জুলাই গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি, ১০ জুলাই ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন-এর ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা ও প্রস্তাবনা সংক্রান্ত বুকলেট পেশ করেন চবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চবি শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ এবং প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক রুহুল আমিন, এইচআরডি সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক সাইদ বিন হাবিব, দাওয়াহ সম্পাদক হাবিব উল্যাহ, আইন সম্পাদক আফনান হাসান ইমরান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারেস মাতব্বরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বুকলেট বিতরণ এবং সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন শেষ হয়।