শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: পদ্মার তীব্র স্রোতে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচটি ফেরিঘাট। ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়ে একটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। জানা যায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র হচ্ছে স্রোত। ফলে ঘাটগুলো ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দেওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকার বইছে তীব্র স্রোত। এতে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক। সব মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যার মধ্যে মালবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। বিআইডব্লিউটিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, তীব্র স্রোতের কারণে ১৪টি ফেরির মধ্যে মাত্র আটটি বড় ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে। ছোট ফেরিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ২ ও ৩ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করছে। একটি ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাকি চারটি ফেরিঘাটও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, “মাঝখানে চর জাগার কারণে পদ্মার পানি পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া তীর ঘেঁষে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণেই পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বস্তা কত ফেলব? নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরের ওপর চাপ পড়ছে এবং ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর ঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন ঘাটটিতে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া তীব্র স্রোতের কারণে ছোট ফেরি চালাচ্ছি না। ১৪ ফেরির মধ্যে আটটি বড় ফেরি দিয়ে ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে গাড়ি পারাপার করছি। মূলত, সবগুলো ফেরিঘাট ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে আমরা সতর্ক রয়েছি।