ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখর হয়ে উঠে এখানকার সব বিনোদন কেন্দ্র। কেউ এসেছেন ছেলে-মেয়ে নিয়ে, কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, আবার কেউ এসেছেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। বাদ যায়নি বয়স্করাও। সাগর,নদী, পাহাড়, লেক ও বন্য প্রাণীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে ছুটে এসেছেন তারা। সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র, পারকি বিচ, কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পাক, ওয়াটার পার্ক সি ওয়াল্ড ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব বিনোদন কেন্দ্রে শিশু-কিশোরসহ প্রায় সব বয়সী মানুষের সরব উপস্থিতি ছিল। এছাড়া দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় ছিল পাঁচলাইশ জাতিসংঘ পার্ক, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্ক, বায়েজিদ সংযোগ সড়ক, বাকলিয়ায় কর্ণফুলী নদীর তীর, ফৌজদারহাটে ডিসি পার্ক। সরেজমিনে মঙ্গলবার নগরের পতেঙ্গা সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। আশপাশের এলাকার পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও আসছেন অনেকে। নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে কেউ নোনাপানিতে পা ভেজাচ্ছেন, কেউ স্পিডবোটে ছুটে বেড়াচ্ছেন ঢেউয়ের তালে। কেউ আবার সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষায় সমুদ্রপাড় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিল।
বাঘ, সিংহ, হরিণ, বানর নিয়ে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের বেশি আগ্রহ ছিল। দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই ছিল এসব প্রাণীর খাঁচার সামনে। পশুপাখি দেখতে শিশু-কিশোরদের আগ্রহই বেশি চোখে পড়েছে। দর্শনার্থী আব্দুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সবচেয়ে আকর্ষণ হল বাগ। এখানে ১৮টি বাগ রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি দুর্লভ সাদা বাগ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন বলেন, এবার ঈদের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের চাপ ছিল। তিন দিনে ৫২ হাজার দর্শনার্থীদের এখানে এসেছেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত আরও ৩০ হাজারের মতো দর্শনার্থী আসতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
চিড়িয়াখানার পাশে রয়েছে ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ও সি ওয়ার্ল্ড। সেখানেও ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়, মানুষের সরব উপস্থিতি। নানা বয়সী মানুষ মেতে উঠেছেন জলকেলিতে। সুইমিং পুলে শত শত মানুষ আনন্দে মেতেছেন। পার্কের বিভিন্ন রাইডে চড়ে বসেছে অনেক শিশু-কিশোর।
কনকর্ডের ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এবার নতুন করে ছয়টি রাইড যুক্ত করা হয়েছে। এতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছ। মানুষের ভিড় ছিল সন্তোষজনক। গত তিনদিনে সেখানে ১৪ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। আগামী দুইতিন দিনে সেখানে আরও ১৪ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্ক ও চান্দগাঁওয়ের স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পার্ক ও কাজীর ডেউরী শিশু পার্ক বন্ধ রয়েছে। এসব পার্কে গিয়ে ফেরত আসছেন দর্শনার্থীরা।