বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহজম বলেছেন, ‘আসুন আমরা সমাজের সব হাতগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসি। শপথ নিই, আমরা জাতীয় স্বার্থে এক। এ জায়গায় আমরা কমপ্রোমাইজ করব না। এটা কারো পক্ষে বা বিপক্ষে গেলেও এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। সবকিছুর ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থ। আপনাদের কলম মুক্ত ও শাণিত হোক। আপনাদের মুখগুলোও মুক্ত ও স্বাধীন হোক। সবার চিন্তা ও মুখ খোলাসা হোক এবং আমরা যেন নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারি। একজন কৃষকও যেন নির্ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারে, লাঙল নিয়ে মাঠে যেতে পারে। একজন পিয়ন যেন ভয়ের সংস্কৃতিতে না থাকে, তাকে যেন বসের দাসে পরিণত হতে না হয়। সমাজের শাসকরা যেন প্রভু বনে না যান। তারা যেন নাগরিকদের অধীন দাস মনে না করেন। বরং নাগরিকদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে তারা বাধ্য হন এবং নাগরিকদের কাছেই তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এ অনুভূতি জাগ্রত হোক আমরা সেই দোয়া করি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের জাতীয় স্বার্থ।’ তিনি বলেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে। ভোট হবে স্বচ্ছ, কোনো ধরনের কারচুপি হবে না। গতকাল সোমবার সকালে খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আড়ংঘাটা থানা জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আড়ংঘাটা থানা আমীর মাওলানা মনোয়ার আনসারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফিরোজ আহমেদ তুহিন এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ শেখ আশরাফ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা কাজী রেজাউল হক, হোসেন আহমেদ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউনুস আলী, আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মাহদী হাসান আল হাদী, মাওলানা সিরাজুল হক, মোহাম্মদ আউলিয়া শেখ, কামাল হোসেন, মোহাম্মদ রায়হান, শ্রমিক নেতা আব্দুল কাদের হাওলাদার, শাহিন শাহিনুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন তপু, শেখ শাহ জালাল, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী, অধ্যাপক ইমাম মুহিত, মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।