স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের মেয়ে সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তার সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গতকাল রোববার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, স্বপন ভট্টাচার্যের মেয়ে সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি যশোরের কোতোয়ালি থানায় ১৪৫ শতক জমি যৌথভাবে কেনেন। এ ছাড়া যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় তার নামে জমি থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের নামে থাকা স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর বাইরে সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের চারটি ব্যাংক হিসাব থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বপন ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, স্বপন ভট্টাচার্য অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকা জমা হয়েছে। সেখান থেকে ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৪ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করে টাকা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। আর তন্দ্রা ভট্টচার্য ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৩ টাকা জমা এবং মোট ৭ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৯ টাকা তুলে নেওয়া হয়।