এম, এ জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ ) : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বড় দুগলী ও গাছবায়ড়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এক কিলোমিটার কাঁচা সড়কের জন্য যুগের পর যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন । গ্রামের কিছু অংশ পাকা হলেও আহম্মদ আলী ভগার বাড়ী থেকে বড় দুগলী প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এ কাঁচা সড়কটির কারণে বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এ সড়কের কারণে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে এলাকা। কাচা সড়কটি দেখলে বোঝা যায়, কতটা নাজুক এক কিলোমিটার সড়কটি । আধুনিক যুগে এসেও এভাবে কাদা মাড়িয়ে চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, বিগত দিনে বারবার আশ্বাস দিলেও রাজনৈতিক কারণে কথা রাখেননি জনপ্রতিনিধিরা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটুসই কাঁদা ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ কৃষি পণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় । এ ছাড়াও অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে কষ্টের সীমা থাকে না। সড়কের বেহালদশার কারণে সন্তানদের বিয়ে দিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থী ও মসজিদে যেতে মুছুল্লীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । একটি সড়কের কারণে আর্থসামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে দুটি গ্রামের মানুষ। তাই দ্রুত সড়কটি পাকা করে ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বড় দুগলী গ্রামের এনামুল হক জানান, বারবার আশ্বাস দিলেও কথা রাখেননি জনপ্রতিনিধিরা। আহম্মদ আলী ভগার বাড়ী থেকে থেকে বড় দুগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণ হলে কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শিশুদের লেখাপড়া, কৃষিকাজ, ফসল আনা-নেওয়া, গ্রাম থেকে শহরে যেতে নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কাঁচা সড়কের বেহালদশার কারণে সন্তানদের বিয়ে দিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের।
বড় দুগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাব হোসেন বলেন, ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষকালে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ দুইটি গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। হাটুসই কাঁদা ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ স্থানীয়দের। দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত সময়ের সড়কটি নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
৫নং গালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন বলেন, সড়কটি এলজিইডি বিভাগের তাই ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ দিয়ে পাকা করা সম্ভব নয়। তবে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবিহিত করেছি আশা করি দ্রুত রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।