বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: বাঁশখালীতে ওয়াটার ফ্যাক্টরীতে বিল্ডিংয়ের দরজা জানালা ভাংচুর করে, ফ্যাক্টরীর মালামাল, খামার থেকে গরু ও প্রজেক্টের মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে, অভিযোগের পর ৮লক্ষাধিক টাকার লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া বিল এলাকায় বাঁশখালী-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের সাথে গ্যাস পাম্প সংলগ্ন জান্নাত ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরিতে ভাংচুর, ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভবনের চাল, গ্রীল, দরজা, জানালা ও দরজা জানালার গ্লাস খুলে লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। লুট করা হয়েছে খামারের গরু ও প্রজেক্টের মাছ। এমনকি বিদ্যুতের সুইচ পানির লাইনের পাইপ ও বাথরুমের ফিটিংস পযর্ন্ত খুলে ভেঙে লুটতরাজ চালানো হয়েছে।
১২ এপ্রিল সংঘটিত এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঁশখালী পৌরসভার পশ্চিম নেয়াজরপাড়া এলাকার জনৈক এরশাদের বাড়ি থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের মালামাল উদ্ধার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
এই ঘটনায় ওয়াটার ফ্যাক্টরীর মালিক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত মাহমুদউল্লাহ সওদাগরের ছেলে হেফাজ উদ্দিন ও ফ্যাক্টরীর কর্মচারী পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ সোহেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া বিল এলাকায় আব্বাস হাজীর মালিকানাধীন ওই ভবন ও সুবিশাল জায়গায় আফ্রিকান প্রবাসী জসিম উদ্দিন ও মিনজিরিতলা এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম যৌথভাবে জান্নাত ওয়াশ ড্রিংকিং ওয়াটার ফ্যাক্টরী চালু করেন। অবশিষ্ট জায়গায় গড়ে তুলেন গরুর খামার ও মাছের প্রজেক্ট। সোহেল ছিলেন ওই ফ্যাক্টরির কর্মচারী এবং ১নং আসামি হেফাজ উদ্দিন ফ্যাক্টরী মালিক জসিমের ভাগিনা।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ফ্যাক্টরী মালিক আফ্রিকা প্রবাসী জসিম উদ্দিনের শীলকূপ এলাকায় আরো একটি মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। ভাগিনা হেফাজ উদ্দিন ওই প্রজেক্ট দেখা শুনা করতেন। এর মধ্যে ওই প্রজেক্টের প্রায় ৭০ লাখ টাকার হিসাব গরমিল করায় গণ্যমান্য লোকজনের মধ্যস্ততায় তাকে সব হিসাব বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১২ এপ্রিল শনিবার জসিমের ভাগিনা হেফাজ ফ্যাক্টরির কর্মচারী মোহাম্মদ সোহেলসহ আরো কিছু অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী নিয়ে ফ্যাক্টরীর সব মালামাল খুলে ভেঙে লুটতরাজ করে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই তারা সটকে পড়েন। হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের সময় ফ্যাক্টরী বন্ধ ছিল। সেখানে লোকজন না থাকায় সিসি ক্যামেরা, লাইট ফ্যান বিদ্যুৎ সামগ্রী ও ওয়াটার ফ্যাক্টরীর সব মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই ফ্যাক্টরীর ৭০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।