পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের টানাপোড়েনের জেরে চারদিন ধরে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকালও স্বাভাবিক হয়নি এ রুটের পরিবহন ব্যবস্থা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ লোকাল বাস কিংবা সীমিত সংখ্যক চলমান পরিবহন ব্যবহার করে ঢাকায় যাতায়াত করছেন। তবে স্বাভাবিক বাস সার্ভিস না থাকায় যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। অচলাবস্থা কবে কাটবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে যাত্রীরা উদ্বেগ ও দুর্ভোগে রয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই জানান, হঠাৎ করে দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে চাকরিজীবী ও রোগী পরিবহনে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবে একতা ট্রান্সপোর্ট নামে একটি বাস কোম্পানি তাদের সার্ভিস চালু রেখেছে বলে জানা গেছে। এর বাইরে অন্য কোনো পরিবহন রাস্তায় নামেনি। মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের পূর্বের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চালকের ট্রিপপ্রতি বেতন ১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা করা হয়। একইসঙ্গে সুপারভাইজারের বেতন ৫০০ থেকে ৭৫০ এবং সহকারীর ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা করা হয়। কিন্তু এরপর শ্রমিকরা নতুন করে বেশ কয়েকটি দাবি তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- যাত্রাবিরতির সময় খাবারের হোটেল বিল কোম্পানিকে বহন করতে হবে, ডিউটি ২৪ ঘণ্টা হলে শ্রমিকদের খোরাকি দিতে হবে, এসি কোটের ২০টি টিকিট বিক্রি হলে একটি টিকিট শ্রমিকদের দিতে হবে, ফুল হলে দুইটি দিতে হবে, রাজশাহীর ট্রিপ হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেতন দিতে হবে। মালিকদের অভিযোগ, শ্রমিকদের এসব নতুন দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে তারা বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এদিকে দীর্ঘ চারদিন ধরে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। যাত্রীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য মালিক-শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।