বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন রুকনদের ত্যাগ, কুরবানির মাধ্যমেই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও কল্যাণরাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। ইসলামি আন্দোলনের রুকনরা সমাজে সত্য, ন্যায় ও আদর্শের আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা রাখবেন- এটাই সময়ের দাবি। শনিবার দেওয়ান বাজারস্থ বাংলাদেশ ইসলামী একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে কোতোয়ালি থানার এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে নৈতিক অবক্ষয়, দুর্নীতি ও অবিচার সমাজকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রুকনদের আত্মনিবেদিত ভূমিকা অপরিহার্য। প্রতিটি রুকনের উচিত আমল, চরিত্র ও দাওয়াতের সমন্বয়ে নিজেদের গড়ে তোলা এবং সমাজে ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা বৃদ্ধি করা।

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালীসহ সব এলাকায় আমাদের রুকনদের দায়িত্ব এখন আরও বেশি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্বকে বিজয়ী করতে আমাদের প্রত্যেককে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হলে আমাদের জীবনাচরণ, আচরণ ও সেবার মানই হবে সবচেয়ে বড় প্রচারণা। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক একজন সৎ, শিক্ষিত ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন নেতৃত্বের প্রতীক। তাকে বিজয়ী করতে হলে প্রত্যেক রুকনকে দাওয়াতি ও সামাজিকভাবে সক্রিয় হতে হবে। জনগণের কাছে ইসলামী আন্দোলনের শান্তি ও ন্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন রুকনরা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দাওয়াত, সমাজসেবা ও নির্বাচনী কর্মকা-ে আত্মনিয়োগ করেন। আমরা যদি সততা, ত্যাগ ও আদর্শের শক্তি নিয়ে কাজ করি, ইনশাআল্লাহ জনগণ ইসলামী নেতৃত্বের পক্ষেই আস্থা রাখবে।

সম্মেলনে কোতোয়ালি থানার আমীর আমির হোছাইনের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. ফজলুল হক বলেন, নির্বাচন শুধু ভোটের প্রতিযোগিতা নয়, এটি ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা মানে জনগণের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। তাই আমাদের প্রতিটি রুকনকে সংগঠিত ও ইতিবাচকভাবে মাঠে থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগমীর বাংলাদেশ নতুন ভাবে সাজানো জন্য জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করার আহবান করেন। দেশ সুন্দর ভাবে পরিচালিত হওয়ার লক্ষে শিক্ষা চিকিৎসা যাতায়াত সহ বিভিন্ন খাতে বিদেশি মডেলের উন্নয়ন করার অঙ্গিকার করেন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুজ জাহের ও আহমদ রশীদ আমু, থানা সহকারী সেক্রেটারি আ. ন. ম. জোবায়ের, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ফেরদাউস, এইচ. এম. এমদাদ উল্লাহ, এডভোকেট এহতেশামুল হক, নুরুল কবীর, মাওলানা আজগর হাসান, সাইয়েদ মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট আনোয়ার সা’দত, একরামুল হক, ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস, মুহাম্মদ ওসমান গনি, মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মাস্টার নুরুল আমীন প্রমুখ। সম্মেলনে আগত রুকনগণ ইসলামী আন্দোলনের আদর্শ ও আসন্ন নির্বাচনে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।