জামায়াত এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নতির জন্য বিরামহীনভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।

গতকাল সোমবার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আবু সাঈদ মণ্েেডলর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি তারিফুল ইসলামের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা নগর থানা সাবেক আমীর, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি, তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপক আ জ ম কামাল উদ্দিন, থানা শুরা কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল খান, জামিল বিন হোসাইন, আব্দুজ জাওয়াদ, মাওলানা রুহুল আমিন, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক, ছাত্র, স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।

অরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সাহিত্য সম্পাদকও তেজগাঁও কলেজের সাবেক সভাপতি মোরশেদ আলম তাফহীম, তেজগাঁও কলেজ সভাপতি ইজাজ আহমেদ, ক্যাম্পাস ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হোসেনসহ কলেজ ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের থানা সভাপতি আক্তার হোসেন, জামায়াত নেতা হাসান আল বান্না, রাইয়্যান আত তাহাভি, শামীম মন্ডল ও আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি শিক্ষকদের বিভিন্ন মতামত মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, আবাসন সুবিধা, ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও সামাজিক অগ্রগতিতে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি মতবিনিময়ের পর কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিনের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন এবং কলেজের সাথে দীর্ঘমেয়াদী ছাত্র-শিক্ষক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকার সাথে তাদের বিভাগীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে কুশল বিনিময় করেন এবং ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, যে জাতি যত উন্নত সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থাও ততই সমৃদ্ধ। কিন্তু আমাদের দেশে নেতিবাচক রাজনীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্বাধীনতার পর আমাদের শিক্ষার গুণগত তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। অপরাজনীতির কারণে আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে খুব একটা সাফল্যের দেখাতে পারেনি। মূলত, ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তির কারণেই দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে মানসম্পন্ন শিক্ষা উপহার এবং বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য নাগরিক তৈরির জন্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিক্ষাকে গণমুখী করতে আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু প্রার্থীদের বিজয়ী প্রচেষ্টা চালাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।