হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়নের পেশকারহাট সংলগ্ন হালদা নদীর বাঁধে বড় ধরনের ফাটল ও ধসের ঘটনা ঘটেছে। টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ৭-৮টি স্থানে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ইতোমধ্যে বাঁধ ভেঙেও পড়েছে। এতে করে পেশকারহাট এলাকায় মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে; নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙনের ফলে গুমানমর্দন, নাঙ্গলমোড়া ও ছিপাতলী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে পানির পরিমাণ বাড়লে কিংবা নতুন করে ভারি বর্ষণ হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ভাঙন প্রতিরোধে মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটির নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে বালুর বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব পদক্ষেপ অস্থায়ী। স্থায়ী সমাধান ছাড়া পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

বাঁধ ভাঙন সম্পর্কে জানতে চাইলে হাটহাজারী পানি উন্নয়ন উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহাগ তালুকদার বলেন, “ভাঙনকবলিত এলাকায় মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।”

তিনি আরও জানান, “বর্তমান বাঁধটি অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্লক বসিয়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।” এ বিষয়ে নাঙ্গলমোড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক, লেখক ও গবেষক মো. টিপু সুলতান জানান, “নাঙ্গলমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁধের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ভেঙে গিয়ে স্কুলসহ শত শত বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।” স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে করে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায় এবং জনজীবন নিরাপদ রাখা সম্ভব হয়।