ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা : বাংলাদেশে ইসলামের পতকা উড্ডীন করার জন্য জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সুযোগ্য সন্তান মাসুদ সাঈদী ২০১৪ সালে জিয়ানগর উপজেলা নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি জনগণের আস্থাভাজন নেতা। পাঁচ বছরের মেয়াদে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাতের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তিনি তার বাবার ঐতিহ্য রক্ষা করেছেন। আমরা আশা করি, আগামী জাতীয় নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে তিনি বিজয়ী হবেন। আল্লামা সাঈদী ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পরীক্ষিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালে তার নির্বাচন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। সত্য ও ঈমানের ওপর বলিয়ান থাকার কারণে ১৩ বছর কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাকে অনেক ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আল্লাহর সেই বান্দা প্রমাণ করেছিল যে, মুমিনের মাথা একমাত্র আল্লাহর কাছে নত হয়। মৃত্যুকে সে ভয় করে না। কারাগারে মৃত্যুকে তিনি তিলে তিলে আলিঙ্গন করেছিলেন। সেই আল্লামা সাঈদীর আসনে শুধু বিজয় কেন? সারা দেশের মধ্যে যতগুলো আসন আছে সকল আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এটা চ্যাম্পিয়ন হবে, ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর ১ আসনের সেন্টার কমিটি প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসেন হেলাল। তিনি বলেন, সংসদে আইন পাস করার জন্য ১৫১টি আসন লাগবে। সংবিধান সংশোধন করার জন্য ২০১টি আসন লাগবে। আমরা যাতে সারাদেশের জনগণকে বলতে পারি দেখ পিরোজপুরে কিভাবে কাজ হচ্ছে! তোমরাও এগিয়ে আসো। সেভাবেই কাজ করতে হবে আপনাদের।
তিনি বলেন, আমারা ভয় করি শুধু আল্লাহকে। দুনিয়ার কোনো শক্তিকে ভয় করি না। পুরুষদের শক্তির মতোই আমাদের বোনদেরও সমান শক্তি আছে। সে শক্তি হলো ভোটের শক্তি। ভোটের ময়দানে দুষ্ট চক্র ভয়ভীতি দেখাতে পারে, তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। যেমনি ভাবে জেহাদের ময়দানে ভুমিকা পালন করছেন হজরত খাদিজা, হজরত আয়েশা ও হজরত সুমাইয়া (রা:)। রোদ বৃষ্টি, ঝড় ও রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে আসতে হবে। মাঝে মধ্যে দু’একটা ঠাস-ঠুস শব্দ আসতে পারে, সেগুলো সাহসীকতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি নির্বাচনী সেন্টার কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন থেকে নির্বাচনই একমাত্র কাজ। সকল মানুষকে দাঁড়িপাল্লা মার্কার দিকে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগামীতে পিরোজপুরে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে, সেই সভায় আমীরে জামায়ত ডা. শফিকুর রহমান অংশ গ্রহণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমীর ইসহাক আলী খান, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি কে এম ইমরান খান প্রমুখ। সম্মেলনে ইন্দুরকানী ও পিরোজপুর সদর উপজেলার সেন্টার কমিটি গুলোর সভাপতি-সেক্রেটারিগণ উপস্থিত ছিলেন।