সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা : ছেলে ও তার শ্যালক মিলে জোরপূর্বক জমি লিখে নেয়ায় এবং দেখভাল না করায় আত্মহত্যা করেছে এক বৃদ্ধ। এই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কলাবাগান এলাকায়। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বৃদ্ধের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেছের মর্গে ময়না তদন্তের পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধের মেয়ে জামাতা আইজুল ইসলাম।
মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, আমার শাশুড়ী পতি বেগম (৫৫) প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের সময় তার পিতা রহিম উদ্দিন মেয়ের নামে ৬০ শতক জমি লিখে দেন। সেই জমি সম্প্রতি পতি বেগমের ছেলে মইজুল ও ভাই রফিক মিস্ত্রি কৌশলে লিখে নেয়। অথচ বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী মা পতি বেগম ও তার বৃদ্ধ স্বামী আব্দুল হাফিজের দেখাশোনা করতেন না তার ছেলে। জমি লিখে নেয়ার পর আরও অবহেলা করতে থাকে ছেলে মইজুল।
এতে চরম দুর্দশায় নিপতিত হয় আব্দুল হাফিজ। নিজের ও স্ত্রীর দেখাশোনাসহ ভরণপোষণের জন্য অন্যের কাছে চেয়ে খেতে হতো তাকে। তাছাড়া স্ত্রীও কিছুদিন থেকে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এর ফলে ৬০ শতক জমির মালিক হয়েও এমন দুরবস্থার কারণে তার মধ্যে হতাশা দেখা দেয় এবং নিজ ছেলে ও শালার প্রতি অভিমান করে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। সকালে আমাকে মোবাইল করে বলা হয় তোর শ্বশুর বিষ খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে দ্রুত এসে শ্বশুর আব্দুল হাফিজকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেই। সেখানে চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রংপুর গিয়ে চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মারা যান। এর প্রেক্ষিতে আমার অভিযোগ হলো ছেলে ও শালার প্রতারণা ও অবহেলার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাই এই ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন। একারণে অভিযোগ দায়ের করেছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ফইম উদ্দিন বলেন, আব্দুল হাফিজ নামে বৃদ্ধ রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সেখানে ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাছাড়া বৃদ্ধের জামাতা যে অভিযোগ দিয়েছেন তার ভিত্তিতেই পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।