চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দেশি বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায়, টার্মিনালটির কার্যক্রম সচল রাখতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তা পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

এ উদ্দেশ্যে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চেয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছে চবক। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এনসিটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন চেয়ে সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠায় চবক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ তারিখ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ছয় মাসের জন্য এনসিটি নিজস্বভাবে চালানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চবক, এবং এ বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা হিসেবে ছয় মাসে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রম সচল রাখা জরুরি। কারণ আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটলে দেশের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। নতুন অপারেটর নিয়োগ একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হওয়ায় এ পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ‘সরবরাহ ও ক্রয় আইন, ২০০৬’-এর ৬৮ ধারা অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতেই এ পরিচালনা ব্যয় সম্পন্ন করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক কনটেইনার টার্মিনাল হিসেবে পরিচিত এনসিটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি জেটি। এর মধ্যে চারটিতে আন্তর্জাতিক কনটেইনারবাহী বড় জাহাজ এবং একটি জেটিতে অভ্যন্তরীণ নৌযান ভেড়ে থাকে। এর আগে এনসিটির অপারেটর নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে চবকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অস্থায়ীভাবে টার্মিনাল পরিচালনার উদ্যোগকে অনেকেই একটি মধ্যবর্তী সমাধান হিসেবে দেখছেন।