প্রত্যেকটি দল যেন সমানভাবে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করা হবে। আর কেবল মত প্রকাশের জন্য কোনো সাংবাদিক হয়রানির শিকার হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর সাথে জেলার সরকারি কর্মকর্তা, সুধীজন ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব ছাড়াও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ সাংবাদিক ও সুধীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। গত ১৬ বছরে গণমাধ্যম সূচকে আমরা ৪৪ ধাপ পিছিয়েছি, এক বছরে এ সরকারের অর্জন কী- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব বলেন, “গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে আমরা ১৬ ধাপ এগিয়েছি। সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক আইন বন্ধ করা হয়েছে। গুরুতর সাইবার হ্যাকিং ছাড়া অন্যান্য অপরাধ জামিনযোগ্য করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যমগুলো প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। অনেকগুলো টেলিভিশন সম্প্রচারে আসার কার্যক্রম শুরু করেছে।”

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না, কোনোভাবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে না- একজন সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আজাদ মজুমদার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের অবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ছিল। সে অবস্থা থেকে সরকার পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেও কিছু ঘটনা ঘটছে। যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হওয়া একটি ঘটনার বিষয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করেছেন।

সেখানে তিনি পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এখন থেকে কাউকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না।

রাজশাহীর বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস উইং-এর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে বেশি বেশি লেখালেখি করার আহ্বান জানান।