ধুনট সাংবাদদাতা: বগুড়ার ধুনট টু গোসাইবাড়ী একটি ব্যস্ততম সড়ক। অতিভারী মালবাহীসহ যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি ও অটোরিক্সা চলাচল করে। সড়কের বেহাল দশার কারনে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও প্রায়ই ঘটে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। এ সড়কে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ব্যস্ততম এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সামাজিক ও ছাত্রকল্যাণমুলক সংগঠন ‘দর্পণ’। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ শনিবার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ধুনট-গোসাইবাড়ী সড়ক উপজেলার অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি জনপথ। প্রতিদিন এ এলাকার ছাত্র-জনতা এইপথ ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, বাজার করা, চিকিৎসা গ্রহনসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে থাকে। অথচ এ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্মারকলিপিতে সড়ক সংস্কার ছাড়াও যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ভারি ট্রাকের মাধ্যমে এ সড়ক দিয়েই চলাচল করে। বালু উত্তোলনের কারনে শুধু সড়কটিই নষ্ট হয়েছে এমন নয়, অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও তীরবর্তী এলাকার ভূমি ক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। কৃষিজমির স্থায়ীত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ দিকহলো, ভারী যান চলাচলের ফলে সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেশীরভাগ স্থানে পিচঢালাই উঠে গিয়ে কাঁচা সড়কে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে রোগী পরিবহন, ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেড়েছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও।

সামাজিক ও ছাত্রকল্যাণ সংগঠন ‘দর্পণ’ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, আমরা যমুনা নদী সংলগ্ন অঞ্চলসমূহে বালু উত্তোলন বন্ধ, ভারী যান চলাচলের উপর নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ আরোপ, ধুনট-গোসাইবাড়ী সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার ও প্রশস্তকরণ এবং পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, আমি এখনো স্বারক লিপি হাতে পাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্বারক লিপি হাতে পেলে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।