চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে ফের বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি ও মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কয়েক ধরনের সবজির পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, করলা ও বেগুন ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে।
পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, মুলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজি দরে। মুরগির বাজারেও মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে যেখানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকায়, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা এবং লাল লেয়ার ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির ডিমের বাজারেও কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, সাদা ডিম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৬০ টাকা।
গরু ও ছাগলের মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়, রুই ৩০০-৫৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪৫০ টাকা, বেলে ৮০০-১২০০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০-৭০০ টাকা, চিংড়ি ৯০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৫০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৭০০-১২০০ টাকা এবং চিতল ৬০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিন দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, “এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে। খামার থেকে আমরাও বেশি দামে কিনছি। পবিত্র আশুরাকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।”
ভোক্তারা বলছেন, বাজারে প্রতিনিয়ত এমন মূল্যবৃদ্ধি তাদের সংসারে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। সরকারের কার্যকর নজরদারির অভাবেই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।