জনবল নিয়োগ না থাকায় আড়াই বছরেও জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (আরডিএ) কার্যক্রম চালু হয়নি।বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষকে প্রশিক্ষিত করে জনশক্তিতে রুপান্তর করার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্মাণ করা হয়। প্রায় ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বর্তমানে অযত্নে ও অবহেলায় যন্ত্রপাতি আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে নির্মাণের পর থেকে এটি খালি পড়ে আছে। পুরো একাডেমী যেন ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে।

জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে মেলান্দহ উপজেলার ৭ নং চরবানিপাকুরীয়া ইউনিয়নের মহিরামকুল এলাকায় ২০২২ সালে ৫০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী। যা বর্তমানে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী নামে পরিচিত। গ্রামীন জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কাজের মাধ্যমে পল্লী এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীন উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী গত আড়াই বছরেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি ফলে একাডেমীর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে অনুমোদিত জনবল ১১০টি। পুরো একাডেমীতে জনবল না থাকলেও ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে মহা-পরিচালক ও ৮ জন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ পেয়েছেন। তবে অস্থায়ীভাবে কিছু লোক দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কোনরকমে চালানো হচ্ছে।

বর্তমানে একাডেমির অফিস কার্যক্রম চরম অব্যবস্থাপনায়। সরকারি বাজেটে ৫০ একর জমির উপর নির্মিত এই প্রকল্প শত কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে এখানে ১০তল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ৬তল বিশিষ্ট তিনটি হোস্টেল, ৪ তল ডরমিটর ভবন,স্কুল ও মাদ্রাসাসহ সবই নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে সম্পন্ন হয়। কিন্ত এর পরে থেকে একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সংগ্রামকে বলেন, তিনি ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জামালপুর পল্লী একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে একাডেমি এখনও পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। বর্তমানে জনবল নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পল্লী উন্নয়ন মূলত দারিদ্র্য বিমোচন এবং গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ করবে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে এবং সেগুলো প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।