লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা জামায়াতের ব্যানারে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে এ আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রেললাইন স্থাপন হলে জেলার কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, “লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপন হলে কৃষিপণ্য পরিবহণ সহজ হবে, শিল্পখাত বিকশিত হবে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন আরও কার্যকর হবে। তাই সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাই — দ্রুত রেললাইন স্থাপন করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের পথ খুলে দিন।”
জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া বক্তব্যে বলেন, “১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। স্টেশনের সম্ভাব্য স্থানও তখন নির্ধারণ করা হয়। পরে ২০১৪ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে একটি চাহিদাপত্র জমা দেওয়া হয়। তৎকালীন রেলমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।”
এছাড়া তার ও আগে ১৯৮১ সালে তৎকালীন লক্ষ্মীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাষ্টার সফিক উল্যাহ জাতীয় সংসদে প্রস্তাব আনার প্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলার সোনারপুর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানী গঞ্জে হয়ে রায়পুর থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত মাঠ জরিপ করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এআর হাফিজ উল্যাহ, সহকারী সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মাহমুদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চ ও ফেরিঘাটটি দেশের প্রায় ২৫টি জেলার সঙ্গে নৌপথে সংযুক্ত। এটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভোলা, খুলনা, বরিশালসহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে সহজ নৌযোগাযোগ নিশ্চিত করে আসছে। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই ঘাটে একটি আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
স্থানীয়রা মনে করেন, নৌবন্দর ও রেললাইন স্থাপিত হলে লক্ষ্মীপুর হবে একটি পূর্ণাঙ্গ লজিস্টিক ও অর্থনৈতিক হাব।