খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হান্নানের বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি ধাঁরালো অস্ত্রসহ ছয় জন গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভোর রাতে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে চলে। গ্রেফতার ছয় জন এবং পলাতক সন্ত্রাসী হান্নানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুলনার আলোচিত শেখ বাড়ি ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারীর ডান হাত বলে খ্যাত। বিগত হাসিনা সরকারের আমলে রূপসার গোটা আইচগাতি ইউনিয়নে সে ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক। তাকে বলা হতো নব্য খুনি এরশাদ শিকদার।

অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. জুনায়েদ হোসেন ওরফে ডক জুনায়েদ (৫৫), মো. জাহিদ হোসেন (৫০), মো. মোশাররফ হোসেন (৪২), মো. আজানুর মুন্সি (৩৬), মো. মিজানুর মুন্সি (৪৩) এবং মো. জহির হোসেন (৩৬)। তারা সকলেই রূপসার দেয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভোর রাত দুই টা ১০ মিনিট থেকে সকাল সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। তখন হান্নানের বাড়ি এবং জুনায়েদের ডক থেকে একটি ম্যাগজিনসহ নাইন এমএম পিস্তল, চারটি দেশি তৈরি পাইপগান, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি রামদা এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দের পর রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পলাতক সন্ত্রাসী হান্নানের অবস্থান কোথায়? তাদের হেফাজতে আরও অস্ত্র-গুলি আছে কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে উদ্ধার অভিযান গ্রেফতারের চেষ্টায় তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে জ্ঞিাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পলাতক সন্ত্রাসী হান্নান মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সেচ্ছাসেবক লীগে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তিনি জুনিয়র এবং সিনিয়রদের নিয়ে পৃথক দুইটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। যারা ওই এলাকায় মাদক কারবার এবং খেজুরতলা ঘাট এলাকায় চোরাই তেল, কয়লা ও সারের কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন।