যশোর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সুন্দলী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে সোমবার(১৭ নভেম্বর) বিকেলে সুন্দলী বাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে হিন্দু সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সনাতন সম্প্রদায়র কয়েক শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর-৫ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনিত প্রার্থী, বিশিষ্ট আইনজীবী, সাহিত্যিক ও গবেষক এডভোকেট গাজী এনামুল হক, অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডা. জগদীশ বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্য সম্প্রীতি উন্নয়নের অঙ্গীকারে: অধ্যাপক গোলাম রসুল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি গভীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সকল মানুষের দেশ। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সকলেই এ দেশের সমান নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে আমি দৃঢভাবে আশ্বাস দিচ্ছি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও অধিকার রক্ষায় আমরা সর্বদা পাশে থাকব।
তিনি আরো বলেন, আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি দেশে একটি গ্রহণযোগ্য, অংশ গ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে জুলাই সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। একই সঙ্গে জনগণের সত্যিকারের মতামত প্রতিফলিত করতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে হবে, যাতে প্রতিটি ভোটের মূল্য মর্যাদা পায়।
এছাড়া সকল দলের জন্য সমান সুযোগ ও স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা, হয়রানি ও দমন-পীড়ন বন্ধ করা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পরিবেশ সৃষ্টি করলেই সামনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে। দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার স্বার্থে এই পাঁচ দফা বাস্তবায়ন করে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা আমরা বিশ^াস করি।
অধ্যাপক গোলাম রসুল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে এখনো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। দুর্বৃত্তরা এসব অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষ এবং র্প্রাথীদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। জনগণ যেন ভয়ভীতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এটি সরকারকে নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ অঞ্চলের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।