মেহেরপুর সংবাদদাতা : মেহেরপুরে শীতকালীন বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকরা মুখে হাসি। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি কৃষক সাহাবুল ইসলাম বলেন এই বছরে ৩ একর শীতকালীন ৭৪ জাতের বোরো ধানের চাষ করেছিলেন ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দামও ভালো কিন্তু হঠাৎ করে অতিবৃষ্টি হওয়ার কারণে উচ্চ ফলনশীল বি আর ৭৪,৮৯, ৯১,৯২, ধানের নষ্ট হয়েছে এতে করে কৃষকরা এই জাতের ধানের ফলন কম হবে।
। মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলা ষোল টাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামে মহসিন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন এই বছরে ৭৪ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং তিনি বেশ কিছু দেশীয় ধান চাষ করেছেন তাতে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি বলেন, বি, আর ৮৯/৯২ জাতের ধান অন্যান্য ধানের ছাড়া পরে ওঠে এই কারণে অতি বৃষ্টিতে মেহেরপুরের কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে ক্ষতিগ্রস্তর মধ্যে পড়েছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, বিশ্বনাথপুর, বাগওয়ান, আনন্দবাস, এবং সোনাপুর এলাকায় শীতকালীন বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে যা প্রতিবছর ন্যায় এই বছরে সর্বোচ্চ ধানের ফলন হয়েছে এবং বাজারে ধানের দামও ভালো। চাষিরা অভিযোগ করে বলেন উচ্চফলনশীল ধান দেশীয় জাতের ধানের পরে ওঠে এই কারণে উচ্চ ফলনশীল ধান মেহেরপুরের কৃষকরা অতি বৃষ্টির কারণে ধান কাটামারা করে ঘরে তুলতে পারেনি এবং ফলন কম হচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন এই বছরে ৭৪ এবং অন্যান্য দেশীয় জাতের ধান উচ্চ ফলনশীল ধানের আগে কাটা মাডা হয়ে যায় এবং বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা । মেহেরপুর বাড়াদী বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারের উপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন এই বছরে অতিবৃষ্টিতে প্রায়
১৫ একর জমীর ধান নষ্ট হয়েছে গেছে। বি আর ৮৯,৯১,৯২,১০৫ জাতের ধানগুলো একটু সময় বেশি লাগে সেই কারণে হঠাৎ করে অতি বৃষ্টির কারণে ধান কাটা মাডা করতে পারেনি এইজন্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি বিএ ডিসির ডাল ও তৈল বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন ভালো আগামী দিনের ভালো ফলন উৎপাদন না হলে
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন এই বছরে আগাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে উচ্চফলনশীল ধান কৃষকরা অনেকেই ঘরে তুলতে পারেনি । তবে অন্যান্য দেশীয় ধান এবং উচ্চ ফলনশীল ধান এসব কৃষকরা রোপন করতে পেরেছে তারা বৃষ্টির আগেই কাটা মারা শেষ করেছে তাদের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান । বিশেষ করে মেহেরপুরের কৃষকরা যত্তর ধান লাগিয়ে ভালো ফল পেয়েছে বলে জানান। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন এই বছরে সদর উপজেলা অন্ধ পেতে ১৫০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফাউন্ডশিল ধান এবং দেশীয় ধান কৃষকরা রোপন করেছে। ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা ৭৪ ধান মেহেরপুরে সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি বলেন এই বছরে সরকারিভাবে কৃষকদেরকে ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে।