চট্টগ্রাম কর্ণফুলী আবাসিক এলাকায় দীর্ঘ ৩৩ বছরের পানিসংকট নিরসনে অবশেষে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনের মিলনায়তনে সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির মধ্যে এ ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনোয়ারা বেগম। সমিতির পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
সিডিএ চেয়ারম্যান নুরুল করিম বলেন, ‘দৃষ্টিনন্দন এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সিডিএ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এটি শুধু আনুষ্ঠানিক চুক্তি নয়, বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্ণফুলী হাউজিংয়ের প্লট মালিকরা যেন সরাসরি উপকৃত হনÍসেটিই আমাদের অঙ্গীকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের নগর পরিকল্পনায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নই মূল লক্ষ্য। সময়মতো প্রকল্প শেষ হলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন।’ চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মনোয়ারা বেগম জানান, ভান্ডারজুড়ি প্রকল্পের আওতায় ৫১৯টি প্লট মালিক পানি সংযোগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। অর্থ প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যেই সংযোগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি প্লট মালিককে ৪০ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। পাশাপাশি পানির পাইপলাইন সম্প্রসারণ, সড়ক ও ড্রেনেজ উন্নয়নসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। উপস্থিত বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, চুক্তি বাস্তবায়িত হলে কর্ণফুলী হাউজিং এলাকায় দীর্ঘ ৩৩ বছরের পানিসংকটের অবসান ঘটবে। অনুষ্ঠানে সিডিএর পক্ষে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, সচিব রবীন্দ্র চাকমা, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, স্টেট অফিসার মো. আলমগীর খান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস প্রমুখ এবং ওয়াসার পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্লট মালিক সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, সহ-সভাপতি গোলাম ওয়ারেস, সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল হুদা, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাইফুজ্জামান রাফি, অ্যাডভোকেট আশীষ কিরণ দাশ ও অ্যাডভোকেট কে. এম. শান্তনু চৌধুরীসহ অন্যরা।