গ্রাম-গঞ্জ-শহর
খুলনায় সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক কল্যাণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ------------অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী প্রধান উপদেষ্টা ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী আমীর
Printed Edition

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী প্রধান উপদেষ্টা ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সর্বদা দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে তাদের সাধ্যমত সাহায্য- সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও প্রকৃত কল্যাণ সাধনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি পবিত্র রমযানের ত্যাগ ও তাকওয়ার প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে সমাজের বিত্তবানদেরকে দরিদ্র ও অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সাহায্য ও কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
গত সোমবার স্থানীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান, আনিসুর রহমান। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকনেতা আব্দুস সাত্তার, দবির উদ্দিন, নুর ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল হাকিম, আনোয়ার, হারুন, সিদ্দিক মুন্সী, মন্টু, রানা, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে শ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করে সঠিকভাবে সিয়াম সাধনে পালনে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কুরআন নাযিলের মাসে পবিত্র কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ব্যক্তি জীবনকে আলোকিত করার পাশাপাশি শ্রমিকের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পতাকাতলে শামিল হওয়ার জন্য খুলনার শ্রমজীবী মানুষের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের ফলে আজ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে দেশের মানুষ। দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশের জনগণ এখন শান্তিতে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এই অর্জন ধরে রাখতে আমাদেরকে বিনয়ী হতে হবে, ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। সব শ্রেণীপেশার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যেক কর্মীকে আদর্শ, ন্যায়পরায়ণ, সততা, সভ্যতা, দক্ষতা অর্জন এবং সাহসিকতার সাথে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।