বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে নগরের ইপিজেড থানার ব্যস্তততম এয়ারপোর্ট সড়কের ফ্রিপোর্ট মোড়ে সড়কে অবস্থান নেন জেএমএস গার্মেন্টস’র প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। ফলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই রিপোর্ট লেখার সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।
আজকের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা না হলে তারা সড়ক না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, কারখানার মালিকপক্ষ বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছে। আজকে কোনোভাবেই বেতন-বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে আজ (মঙ্গলবার) দেওয়া হতে পারে। শ্রমিকরা সড়কের দুপাশে অবস্থান নিয়ে এখনও বিক্ষোভ করছেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে রাস্তা তারা অবরোধ করে রেখেছে, যার কারণে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। আমরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সোলাইমান জানান, জেএমএস গার্মেন্টস’র প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ আছে। কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করা হয় মার্চ মাসে। কারখানা বন্ধ করার পর ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বেতন বৃহস্পতিবার পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি। শনিবারও ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে মঙ্গলবার বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলে সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা।
পুলিস সুপার মো. সোলাইমান বলেন, শ্রমিকরা আজই তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে। আমরা তাদের মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি, যেহেতু মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেটা তারা মানছেন না। আমরা মালিকপক্ষ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর জোন) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রায় ছয়ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ বলছে কাল (মঙ্গলবার) বেতন-বোনাস দিবে। কিন্তু শ্রমিকরা বলছে আজ (সোমবার) বেতন-বোনাস দিতে হবে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।
এর আগে শনিবার দুপুরেও বকেয়া বেতনের দাবিতে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে পরে তারা সড়ক ছেড়েছিলেন।