জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। সবগুলো আসনে জয়ের জন্য আমরা প্রচেষ্টা করব। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের ১৫০টা আসন একদম কনফার্ম জেতার মতো সিচুয়েশনে আছে।
গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত কয়টা আসন পেতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, ওটা তো আমি বলতে পারবো না। এটা যারা ভোট দেবেন তারা ডিসাইড করতে পারবেন। আমাদের জায়গা থেকে এসেসমেন্ট, এটা দেখেন যে বিএনপিও অনেকগুলো ডাটা সার্ভে করেছে। জামায়াত অনেকগুলা করেছে। কিন্তু আমাদের জায়গা থেকে একবার বলেছিলাম, বিএনপি ৫০ থেকে ১০০ আসনের ওপরে পাবেন না। কিন্তু আপনারা তো এখন বাস্তব সিনারিও দেখতে পাচ্ছেন। তলানিতে যাচ্ছে যে।
সংসদে আপনারা কী তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার যদি রেশিওতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসে, সেখানে তো সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে। কিন্তু এখানে একটা বিষয় যে নারীদের আসন রয়েছে উচ্চ কক্ষে, পিআর রয়েছে, ওই ক্যালকুলেশনটা আপনাকে এড করতে হবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত এখনো জুলাই সনদের আইনি প্রক্রিয়ায় আসছে না, এটাই নির্বাচন বিলম্বের মূল কারণ। আমি বলব, জনগণের কাছে মাফ চেয়ে হলেও আপনারা এইসব ভ-ামি বাদ দেন। জনগণের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রুত নির্বাচনে অংশ নিন, আইনি প্রক্রিয়ায় আসুন। দ্রব্যমূল্য, জনজীবনের দুর্ভোগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান Ñ সবকিছু এখন সংকটপূর্ণ।’
ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গাকে নিয়ে আলাদা আসন করা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলা) থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের ১৬ জন এই রিটটি করেন।
রিটের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলাকে (দুই ইউনিয়ন বাদে) নিয়ে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে। এই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন দু’টি সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫)-কে একত্রিত করে তিনটি উপজেলার সমন্বয়ে একটি আসন (ফরিদপুর-৪) করে। তবে রিট আবেদনকারীদের কয়েকজন পূর্বের মতো ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দু’টি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করে। অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তী হাইকোর্ট দুই ইউনিয়ন সরানো প্রশ্নে রুল জারি করেন।