আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। বাজেট ঘোষণা করলেও নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজারে মাছ-গোশত সবজি ও মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- বাজারে এখনো বাজেটের কোন প্রভাব পড়েনি।

রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সাজনা ১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ছোট ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকা, ধনেপাতা ২৮০ টাকা কেজি, কাঁচাকলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ২৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা আঁটি, পালং শাক ১৫ টাকা আঁটি, কলমি শাক ২০ টাকা আঁটি, পুঁই শাক ৩০ টাকা আঁটি ও ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ১৩০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান ২২০ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১০ টাকা ও প্যাকেট জাত ১৪৫ টাকা, লবণ প্রতিকেজি প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও ৫ লিটার ৯৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজার মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮২ টাকা, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা ও ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি সোনালি কক মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর গোশথ প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার গোশত ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০থেকে ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। তবে ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে মুরগির দাম বরাবরই কম থাকে বলে তারা জানান।

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা ও কাজলি মাছ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রমজান মাস থেকেই মূলত দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তাছাড়া বাজেট ঘোষণার আগেই অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এজন্য ঘোষণার পর পণ্যের দাম বাড়ার আর কিছু থাকে না।