নোয়াখালীর কাশেম বাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবিরের কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে ছাত্রদল- যুবদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর শাখা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি দুই নম্বর গেইটে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ছাত্রশিবির মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন।

এসময় তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, কুরআনের উপর হামলা আজকে নতুন নয় বরং যুগে যুগে ইসলাম বিরোধী শক্তি কুরআনের প্রোগ্রামে হামলা চালিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ইতোপূর্বে রমজানে কুরআন তালিম, ইফতার প্রোগ্রামে হামলা করতো এখন নব্য ফ্যাসিবাদিরা তাদের পথই অনুসরণ করছে।

তিনি আরো হুশিয়ার করে বলেন, মসজিদ কারো বাপের সম্পত্তি নয়, মসজিদে কুরআনের আলোচনা হবে, হাদিসের আলোচনা হবে যেই বাঁধা দিবে তাদেরকে উচিত জবাব দেওয়া হবে। একজন মুসলমান হিসেবে এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব।

বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী বলেন, ছাত্রদল- বিএনপির সন্ত্রাসীরা নোয়াখালীতে পবিত্র কুরআন তালিমে হামলা করে আমাদের ভাইদেরকে রক্তাক্ত করেছে। তারা গ্রামে গঞ্জে আমাদের মা বোনদের প্রোগ্রামেও ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। এসব কর্মকা-ের জন্য ছাত্র সমাজ আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যার ফলস্বরুপ ডাকসু,জাকসু, চাকসু ও রাকসুতে আপনাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। সন্ত্রাস যে মোড়কেই আসুক আমরা প্রতিহত করবো। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সকল সংগ্রামে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালী সদর উপজেলার কাশেম বাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত কুরআন তাফসিরুল কুরআন মাহফিল বিএনপি ও যুবদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলার নেতা-কর্মীরা।

সম্প্রতি আছর বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা মডেল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক অতিক্রম করে পৌর বাজারের সামনে শেষ হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বক্তব্যরাখেন, তিনি বলেন, গতকাল কাশেম বাজারে কুরআনের দারস অনুষ্ঠানে কাপুরুষের মতো মসজিদের বাহিরে তালা লাগিয়ে তাদের ওপর হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তিনি আরো বলেন, ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা করছে বিএনপি ও তাদের সহযোগী দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বক্তারা বিএনপির এ ধরনের কার্যক্রম, অপরাজনীতি বন্ধ না হলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দেন। আরও বলেন,

আমাদের জনশক্তিরা আমার কাছে ১০ মিনিটের অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু আমি অনুমতি দিইনি। যদি অনুমতি দিতাম, তাহলে কাশেমবাজার ছাত্রদল শূন্য হয়ে যেত। কিন্তু আমরা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলেছি।