এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড এলাকা এখন শুধুমাত্র যাত্রীদের জন্য নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এখানে প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে শ্রম কেনাবেচার কর্মকাণ্ড। এই স্থান স্থানীয়ভাবে ‘শ্রমিকের হাট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মানিকগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে আসা অসংখ্য মানুষ এখানে শ্রম বিক্রির আশায় জমায়েত হন। প্রতিদিন এখানে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ লোকের শ্রম বিক্রি হয়।

সকালের প্রথম প্রহরে বাসস্ট্যান্ডের বাইতুল আমান জামে মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকে দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষ। কেউ মাথায় গামছা বাঁধা, হাতে বেলচা ও বাঁশের ঝুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন কাজের আশায়। তবে, সবার কাজের নিশ্চয়তা না থাকায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ১৮ বছর ধরে চলছে এই শ্রমের হাট। ভোর থেকে সারা দিন চলে শ্রম কেনাবেচা। তবে সকাল ৮টা পর্যন্ত হাটটি বেশি জমজমাট থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের সংখ্যা কমে যায়। মানিকগঞ্জের কিছু শ্রমিক বাদে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড় ও রংপুরের শ্রমিকরা এখানে কৃষিকাজের সন্ধানে আসেন। প্রতিদিন সকালে ঠিকাদার বা স্থানীয় জমির মালিকরা এখানে এসে দরদাম করেন এবং প্রয়োজনীয় শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে যান। সাধারণত এখানকার শ্রমিকরা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। কিন্তু কাজের ধরন ও সময়ের ওপর নির্ভর করে মজুরি ওঠানামা করে। অভিজ্ঞ শ্রমিকেরা কিছুটা বেশি আয় করতে পারেন,তবে অদক্ষ ও নতুন শ্রমিকদের অনেক সময় কম মজুরিতেই কাজ করতে হয়। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘আমরা জানি, এখানে প্রতিদিন শত শত শ্রমিক বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি। তাদের পরিচয় যাচাই করছি।