গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে কালশি গণহত্যার বিচারের দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশী বিহারী পুনর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ)। বিহারীদের পদযাত্রা কর্মসূচি মিরপুর ১০ এর ঝুট পট্টির ওয়াপদা বিল্ডিং বিহারী ক্যাম্প হতে শুরু হয়ে বেনারসি শাড়ি মার্কেট, মিরপুর ১০ গোল চত্বর ও শেরে বাংলা ইনডোর স্টেডিয়াম হয়ে মিরপুর ১১ এর বেসিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশী বিহারী পুনর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক নেয়াজ আহমদ খান তার বক্তব্যে ক্যাম্পবাসিদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন বলেন, বিগত ৫৪ বছর কোন সরকারই বিহারীদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে নেয়াজ খান বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ জুন শবে বরাতের রাতে কালসির কুর্মিটোলা বিহারী ক্যাম্পে ঘুমন্ত বিহারীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীদের গ্রেফতার না করে পুলিশ উল্টো নিরীহ বিহারীদের আসামি করে গত ১১ বছর আদালতে লেফট-রাইট করাচ্ছে। মামলাগুলোর মাধ্যমে পতিত খুনি লীগ বিহারীদের কন্ঠ রোধ করতে সক্রিয় ছিল। বিহারী নেতা নেয়াজ অপরাধী পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের নির্দেশ দাতা ও সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে অবিলম্বে কালশি গণহত্যার সকল মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তিনি কালশি বিহারী গণহত্যার বিচারের ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলকে সোচচার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বি বি আর এ এর সহ-সভাপতি বিহারী নেতা মোহাম্মদ জাহিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রার কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন ওসমান গনি মহাজন রিয়াজউদ্দিন মুকুল, শেখ ইয়াসির পাপ্পু, মাহতাব ভাসানী, টিটু ইসলাম, মোহাম্মদ সাব্বির, ফয়সাল, নাসরিন সুলতানা, আনিসুর রহমান বেচ, মোহাম্মদ আরমান প্রমুখ।
খন্দকার আবুল মোমেনের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য পরিষদের শোক
বাংলা সাহিত্য পরিষদ এর সাবেক পরিচালক বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সাহিত্য সংস্কৃতির সংগঠক, সম্পাদক ও শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল মোমেন গত শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুম খন্দকার আব্দুল মোমেন জনপ্রিয় সাহিত্য পত্রিকা প্রেক্ষণের সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র এর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
এই গুণীজন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার খ্যাতিমান শিক্ষক ছিলেন। বিভিন্ন বিশ্বিবদ্যালয়েও সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। সাহিত্য সংস্কৃতিতে অসংখ্য অনুজ তৈরিতে বিপুল ভূমিকা রেখেছেন।
তার মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য পরিষদ এক শোববাণী দিয়েছে। শোকবাণীতে পরিষদের সভাপতি আবুল আসাদ ও পরিচালক তৌহিদুর রহমান বলেন, মরহুমের ইন্তিকালে বাংলা সাহিত্য পরিষদ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আমরা আমাদের নিবেদিত প্রাণ ছায়াকে হারিয়েছি। রব্বুল আলামীন তাকে ক্ষমা করুন, সম্মানিত করুন। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফীক দান করুন।