মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা (উত্তর) অঞ্চল সহকারী পরিচালক কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এবং মানিকগঞ্জ-৩ নং আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন বলেছেন, বিগত আওয়ামী আমলে আলেম ও ভাল মানুষরা ছিল খাচায় বন্দী আর খারাপ মানুষ ছিল ক্ষমতায়। সোমবার সকাল ১১ টায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ধর্মীয় শিক্ষক, শিক্ষিকা ও আলেমদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ২৪ এ ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট গনভবনের দুপুরের খাবার রেখেই ভারতে পালিয়ে যায়। কারন শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী আমলে, দেশের প্রখ্যাত আলেমদের জুলুম নির্যাতন করেছেন। আমাদের হাতে ছিল হাত কড়া, পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি, মুখে ছিল তালা, বুকে ছিল জ্বালা, আমরা ছিলাম আয়নাঘরে বন্দী। অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন, আলেম ও ধর্মীয় শিক্ষাকে বৈষম্য করা হয়েছে। এবতেদায়ী মাদ্রাসা, কওমি মাদ্রাসা বাৎসরিক বাজেট কত? আর স্কুল কলেজের বাজেট কত করেছিলেন? আলেমদের সাথে কুকুরের মত আচরণ করেছে বিগত ফেসিস্টরা। তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ টাকা দেশে থাকলে পদ্মা সেতুর মত আরো ৩০টি সেতু তৈরি করা যেতো। পাচার না হলে, আমাদের শিক্ষিত বেকার যুবক, যুবতীদের কর্ম সংস্থান হত। দেশে মিল কারখানা হত। কাজেই দেশের আলেমগণ যাতে আর বৈষম্যের স্বীকার না হয় তার জন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন, দেশে আমাদের মানব সম্পদ, খনিজ সম্পদ, সমুদ্র সম্পদ, ভূমি সম্পদ রয়েছে, শুধু মাত্র দুর্নীতি ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। আমাদের পাশর্^বর্তী দেশ সিংগাপুর, যেখানে এক ইঞ্চি জমি নেই- ফসল ফলানোর, পানিও কিনে আনতে হয় অন্য দেশ থেকে। সঠিক নেতৃত্ব, অনিয়ম বন্ধ করার কারণে সিংগাপুর এত উন্নত। তাই আমাদের এখন ভাবতে হবে, সামনে আমাদের আলেমদের কি ভূমিকা নিতে হবে। এসময় সাটুরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু সাঈদ বিএসসি, নায়েবে আমীর মুঃ হারুনুর রশীদ, বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. লিয়াকত আলী ছাড়াও সাটুরিয়া উপজেলার দু’শতাধিক ধর্মীয় শিক্ষক, শিক্ষিকা, আলেমা ওলামাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।