চট্টগ্রামে ২ কোটি টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে মেঘনা পেট্রোলিয়াম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নওশের জামালকে মব সৃষ্টি করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে। কখন কোথাও কিভাবে নওশেদকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে এ ধরণের একটি ভিডিও ফুটেজসহ তার স্ত্রী রিয়াজুল জান্নাত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগে চট্টগ্রাম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা নেজাম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী নওশেদ জামালের স্ত্রী রিয়াজুল জান্নাত। অভিযোগে পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত ইস্টার্ন কেবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষে বসে চক্রান্ত করা হয় উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নওশেদ জামাল চট্টগ্রাম মেঘনা পেট্রোলিয়ামের চট্টগ্রাম মেঘনা পেট্রোলিয়াম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রুকন বা সদস্য। পাশাপাশি বাগমনিরাম দক্ষিণ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার স্ত্রী জানান কিছুদিন ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে নেজাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আমার স্বামীর কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার স্বামী তাকে বলেছিলেন, ‘আমি সারা জীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জান বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি।’ এরপর নানা ভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসিয়ে দিতে চক্রান্ত করতে থাকেন।

সর্বশেষ পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দফতরে বসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফাঁসানোর চক্রান্ত চূডান্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় অফিসের যাওয়ার পথে মব সৃষ্টি করে ও ব্যাপক মারধর করে আমার স্বামীকে কোতোয়ালী থানা পুলিশের সোপর্দ করে।

কোতোয়ালী থানা ওসি আবদুর করিম ও কথিত নেজাম মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছে। সংক্রান্ত একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। ভিডিওটি তদন্তপূর্বক কথিত বৈষম্যবিরোধী নেতাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া নিজামের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়।