জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে জয়পুরহাট-২ আসনে (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এতে গোলাম মোস্তফার সমর্থকদের দুই জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। উপজেলা পরিষদের সামনে এবং পৌরসভার মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট-২ আসনে (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার সাবেক ডিসি এবং সাবেক সচিব আবদুল বারী মনোনয়ন পান। এরপর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা গত কয়েকদিন থেকে বিক্ষোভ, মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় তারা বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সদ্য মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সচিব আবদুল বারীর পক্ষে আক্কেলপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা কর্মীরা তাদের ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে তাদের ধাওয়ায় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা আক্কেলপুর ব্রীজের পূর্ব পাশে পৌরসভার মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিক্ষোভ পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফা গ্রুপের নেতা আপেল মাহমুদ বকুল এবং আইয়ুব আলী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।

মনোনয়ন বঞ্চিত গোলাম মোস্তফা গ্রুপের নেতা আপেল মাহমুদ বকুল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে থেকে বিএনপির জন্য রাজপথে গোলাম মোস্তফা আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। আমরা অনেক জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এবার আমাদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আবদুল বারী সাহেবের একদল উশৃঙ্খল লোকজন এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ আরও একজন আহত হয়েছি। আমরা তার মনোনয়ন বাতিল চাই।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোন প্রকার অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।