ফিলিস্তিনের গাজায় বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল কর্তৃক অসংখ্য নিষ্পাপ শিশুসহ নিরপরাধ মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে ‘মার্চ ফর গাজা’ উপলক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে নগরীর ডাকবাংলা চত্বরে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মাদ সালেহ-এর সভাপতিত্বে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ।

প্রচার সম্পাদক মোল্লা মিরাজুল হক-এর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা মুশতাক আহমাদ, সহ-সভাপতি মাওলানা রহমাতুল্লাহ. সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী . সহসাধারণ সম্পাদক মুফতি জিহাদুল ইসলাম. আইন ও বিচার বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি গোলামুর রহমান. সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল আজম. সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেকমত আলি. অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ. সদর থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল. খেলাফত মজলিসের সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ. ইসলামী আন্দোলন খুলনা জেলার সহ-সভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম. রূপসা উপজেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি জুনায়েদ আহমদ. সহ প্রচার সম্পাদক মুফতি জাহিদুল ইসলাম হক্কানী. ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগরীর সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন. দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শফিকুল ইসলাম. সহদপ্তর সম্পাদক মাওলানা জিএম ইমদাদুল হক. মাওলানা নূর সাঈদ জালালীসহ আরো অনেকে এবং এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

দাবিগুলো হলো- জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে একটি অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে ; গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনী নিষ্পাপ শিশু ও অসহায় মুসলমানদের আর্তনাদ ও আর্তচিৎকারে সাড়া দিয়ে বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; মধ্যপ্র্রাচ্য থেকে আমেরিকার সকল সামরিক ঘাটি বিলুপ্ত করে আমেরিকার সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে; ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ফিরিয়ে দিতে হবে এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদে স্বাধীন ভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ দিতে হবে; মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগনের প্রতি দাবি ওআইসিকে শক্তিশালি ও সক্রিয় করতে হবে; সকল মুসলিম রাষ্ট্রের সামরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি শক্তিশালী পৃথক মুসলিম সামরিক বাহিনী গঠন করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল আগ্রাসন ও আধিপত্য বন্ধে সদা সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে; ইসরাইলের সাথে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সবধরনের বানিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; গাজার অসহায় মাজলুম জনগণের কাছে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা সহ সবধরনের মানবিক সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে হবে; জায়নবাদি ইসরাইলের দোসর হিন্দুত্ববাদি ভারতের সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে; বিশেষ করে ওয়াকফ আইনের উপর রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন চালিয়ে ভারতে মুসলমানদের মাসজিদ মাদরাসা ঈদগাহ কবরস্থান সহ বিভিন্ন সম্পদ অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্র সমুহের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং কার্যকর কুটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে; বাংলাদেশ সরকারকে সন্ত্রাসী ইসরাইলের সাথে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে এবং কোন চুক্তি থাকলে তা বাতিল করতে হবে; সেই সাথে সকল ইহুদি কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে; ইসরাইলের সকল পণ্য সামগ্রী বর্জন করতে হবে।