বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর জন্য আর্থিক সাহায্যের জন্য ৩বার আবেদন করলেও তাতে কোনো রকম সাড়া দেননি উপাচার্য ড. শূচিতা শরমিন। এমন অভিযোগ তুলেছে ক্যান্সারে মারা যাওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (৯ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা হক জিমি’র সহপাঠীরা।
তারা জানান ২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৮ই তারিখে উপাচার্য বরাবর জিমির চিকিৎসার আর্থিক সাহায্যের জন্য উপাচার্যের দপ্তরে একটা আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু উপাচার্য দপ্তর চিঠিটা গ্রহণ করলেও তাতে সাড়া দেননি উপাচার্য।
তারা আরো জানান উপাচার্যের কোনো সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে একই আবেদন ৩ বার সাবমিট করা হয় কিন্তু তাতেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেনি।
এবিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শহিদুল ইসলাম শাহেদ ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জিমি আপুর হায়াত ছিলনা তাই আল্লাহর কাছে চলে গেছেন তবে আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আজ কতটা অভিভাবকহীন আর অনিরাপদ!!
প্রায় পাঁচ পাঁচটি মাস একজন মানুষের আর্থিক সহায়তার আবেদনপত্র ভিসি দপ্তরে পড়েছিল কিন্তু একটি বারের জন্যও সেটা খুলে দেখার সময় পাননি তিনি!
এবিষয়ে মৃত জিমির সহপাঠী রবিউল ইসলাম বলেন, জিমির চিকিৎসার জন্য উপাচার্য বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হইছিলো। উপাচার্যের দফতর থেকে দেওয়া প্রতিটি তারিখে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানালো, আবেদন পত্র হারিয়ে গেছে আবার আবেদন করতে। পরবর্তীতে একই আবেদনপত্র ৩ বার সাবমিট করা হলেও তারা কোনো পজিটিভ রেসপন্স দেয়নি। অবশেষে ১৫ দিন আগেও পুনরায় অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করা হইছে। ৪ মাস ১৫ দিন হয়ে গেলেও উপাচার্যের থেকে কোনো উত্তর আমরা পাইনি। আর আবেদনপত্রের উত্তর দিতে হবে না, জিমি মারা গেছেন।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে জিমিকে যতটুকু পেরেছি সাহায্য করেছি। আরো কিছু সাহা্যরে জন্য আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য বরাবর তার আর্থিক সাহায্যের জন্য একটা আবেদন করেছিলাম কিন্তু তার আর কোনো আপডেট আমরা পাইনি। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
পাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
পাবনা সংবাদদাতা : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছভুক্ত প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল শুক্রবার সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশের গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার পরীক্ষা
অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ৫৪১৫ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতকরা ৯২.৩৫ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালকসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তাঁরা পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বসার স্থানে যান এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থাপনা, গাড়ি পার্কিংসহ সামগ্রিক আয়োজন নিয়ে অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।