ছয় মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় তারপর প্রেম করে শেষ পরিণয় বিয়ে। তবে এ বিয়ের দু‘দিন পার না হতেই নববধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সখীপুর উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার এসআই তামজিদ মোমেন তনয়।
নিহত নববধূর নাম রিয়া আক্তার (১৯)। তিনি ওই এলাকার সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়ার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে সখীপুর উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়ার (২৭) সঙ্গে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার আমিরুল শাহর মেয়ে রিয়া আক্তারের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
নীরব সৌদি আরব থাকা অবস্থাতেই রিয়া তার বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেন। ১৬ এপ্রিল নীরব সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে সরাসরি প্রেমিকা রিয়ার বাড়িতে ওঠেন। ২৩ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ে করে রিয়াকে সখীপুরে নিয়ে আসেন নীরব।
শুক্রবার বিকেলে রিয়া তার বাবাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বিদায় দিয়ে স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করলে ওই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রিয়ার স্বামীর পারিবার জানায়, নববধূ রিয়ার বাবা-মা পৃথক থাকেন। তাদের বিয়েতে বাবা রাজি থাকলেও মায়ের মত ছিল না। মায়ের সঙ্গে অভিমান করেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার এসআই তামজিদ মোমেন তনয় বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবুও লাশের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।