‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউজগুলোতে আবারও সচল হয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। দু’দিনের স্থবিরতার পর পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের মাঝে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির কারণে গত শনিবার থেকে কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে কনটেইনার খালাস ও পণ্য রফতানি কার্যক্রমে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়। শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের অন্যান্য কাস্টমস হাউজেও ছিল একই অবস্থা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে রোববার রাতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সংশ্লিষ্ট সংগঠন। এর পর রাত থেকেই কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করে। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস প্রাঙ্গনে সিএন্ডএফ এজেন্টদের উপস্থিতি এবং বন্দরে ভারী কনটেইনারবাহী যানবাহনের চলাচল লক্ষ্য করা যায়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, “ ঘোষণার পর রাতেই কার্যক্রম শুরু হয়, তবে পূর্ণমাত্রায় সচল হয় সোমবার সকাল থেকে।” বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কোনো অচলাবস্থা নেই, দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি চলছে। জমে থাকা কনটেইনার দ্রুত সরিয়ে ইয়ার্ড খালি করা হচ্ছে।”

সূত্রমতে, কর্মসূচির ফলে বন্দরে প্রায় পাঁচ হাজার কনটেইনার জমে যায়। রাতেই ‘এমভি আমালফি বে’ জাহাজ থেকে খালাস শুরু হয় এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩১০টি কনটেইনার খালাস হয়। এক জাহাজ লোডিং শেষে রাতেই বন্দর ত্যাগ করে।

উল্লেখ্য, বন্দরের ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস হলেও ৪০ হাজার টিইইউস ছাড়ালেই কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দেয়। এনবিআরের আন্দোলন ও ঈদ ছুটির কারণে জুনের শুরুতে ৪৫ হাজারের বেশি কনটেইনার জমে গিয়েছিল, যা পরে কিছুটা কমলেও কর্মবিরতির ফলে নতুন জট তৈরি হয়।

ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আমদানি-রফতানির স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে কাস্টমস ও এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট দ্রুত সমাধান এবং শুল্কায়ন প্রক্রিয়া আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করা জরুরি।